রাজ্যের কোষাগার থেকে দেদার টাকা উড়ছে পুজোতে



ক্লাব গুলোকে প্ৰতি বছর 35000 টাকা করে অনুদান দেওয়ার পর, গত বছর থেকে শুরু হয় দূর্গা পুজা কমিটিগুলোকে অনুদান দেওয়া।


প্রথম বছর সারা রাজ্যের 28000 পূজো কমিটিকে প্রত্যেক কে দেওয়া হয় 10000 টাকা করে দেওয়া হয়।
অর্থাৎ মোট খরচ 280000000 টাকা।

 এটা গত বছরের হিসাব।

এবার টাকার অঙ্কটা আবার আড়ায় গুণ বেড়ে  হয়  25000 টাকা ।
অর্থাৎ সরকার পুজো কমিটিগুলো কে চলতি বছর মোট ৭০ কোটি টাকা অর্থাৎ ৭০০০০০০০০ টাকা
দুর্গা পূজা করার জন্য খেয়ালি অনুদান দেবে।

এখন প্রশ্ন টা স্বভাবত ই উঠবে যে সরকার বলে রাজ্যের কোষাগারে রাজ্যের মাথার উপর থাকা  ঋণ এর সুদ দেয়ার টাকা নেই।
যে রাজ্যে কৃষক সামান্য কৃষিঋণ শোধ করতে না পেরে আত্মহত্যা করে।

যে রাজ্যে,
 সরকারী কর্মচারীদের টি.এ ডি.এ দেওয়ার টাকা নেই।
যে রাজ্যের রাজধানী টাকার অভাবে বর্সাতে হাঁটু ভর্তি কাদা মেখে শুয়ে থাকে।

যে রাজ্যে টাকার অভাবে হসপিটাল
আছে ডাক্তার নেই।
রোগী আছে ওষুধ নেই।

 প্রাথমিক শিক্ষকদের উপযুক্ত বেতন দেওয়ার টাকা নেই।
যে রাজ্যের ছাত্রদের স্কলারশিপ দেওয়ার টাকা নেই।
 সেই সরকারের এইভাবে যত্রতত্র ছড়ানোর জন্য টাকা কথক্কে আসে???



.... প্রশ্ন উঠাতা স্বাভাবিক।

এইভাবে গরীব মানুষদের  রক্ত জল করা টাকাগুলো কে নিজের ভোটব্যাঙ্ক এর জন্য ব্যবহার করার অধিকার এনাকে কে দিয়েছেন।

রাজ্যের মাথায় যখন কোটি টাকার ঋণের বোঝা। যখন রাজ্যের নিজের লোন মেটানো দূরে যাক, লোন এর সুদ দেওয়ার মতো ক্ষমতা নেই ।
দুদিন ছাড়া নবান্ন থেকে টাকা নেই টাকা নেই চিৎকার শোনা যাচ্ছে।


রাজ্যের নূন্যতম প্রয়োজন মেটানোর জন্য নাকি  টাকা নেই,
আর বিলাসিতার জন্য টাকার  কোনো অভাব হচ্ছে না।

উনি যদি মনে করেন যে উনি রাজ্যের মূর্খ মন্ত্রী বলে যা ইচ্ছা তাই করবেন ।

তবে উনার মনে রাখা উচিৎ এই রাজ্যে উনার  ওই  মাতাল নান্টু মন্টু ভাইরা ছাড়াও রাজ্যে আরও কিছু  ছেলেপুলে আছে ।
কিন্তু আপনার তো তাদের কথা মনে করার সময় নেই।

কেননা তারাতো আর কিছু বলে না।
প্রতিবাদ করার সাহস নেই।

কিন্তু আপনি ভুলে যাচ্ছেন,
দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে তারাও একদিন রুখে দাঁড়াবে।।

আর সেদিন  বাংলার এক ব্যভিচারিণী নারী হিটলারের ইতিহাস নতুন করে লেখা হবে ।।।
পুরো রিপোর্ট ভিডিও দেখুন
👇👇👇
ভিডিওটি দেখতে চাইলে এইখানে ক্লিক করুন

Comments

Popular posts from this blog